শিলিগুড়ি , ১ ফেব্রুয়ারী : পর্যটন মরশুম শুরু হতেই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ৪ টি নতুন জয়রাইড চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে । দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে ডিজেল ইঞ্জিনে স্পেশাল টয় ট্রেন জয়রাইড চলবে ১ মার্চ থেকে ৩০জুন অবধি । এই মুহুর্তে ৮টি জয়রাইড চলছিল । এবার বাড়তি আরও ৪ টি জয়রাইড চালাবে রেল । শুধু তাই নয় প্রতিটি জয়রাইডে একটি করে ফার্স্ট ক্লাস চেয়ার কার সংযোজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । আবার যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় ১ মার্চ থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত নিউ জলপাইগুড়ি দার্জিলিং এসি স্পেশাল টয় ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ।
বিদায়ের পথে শীত । এখনই গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এর মধ্যেই সোমবার সকালে দার্জিলিং জেলার সান্দাকফু ঢেকে গিয়েছে তুষারে। আর তাই গরমের ছুটি কাটাতে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে পাহাড়ে তা বলাই যায়। এ কারণেই বাড়তি জয়রাইড চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে । কারণ মার্চে পরীক্ষা শেষ হতেই পাহাড়ে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে যাবে । আর পাহাড়ে পর্যটক এলেই তারা একবার হলেও টয় ট্রেন চড়বেই । তাই সকলের সুবিধার্থে এই সংখ্যা বাড়ানো হল ।
এই মুহুর্তে প্রতিদিন দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে ৮ টি জয়রাইড চলে । তা এবার বেড়ে হল ১২ । নতুন চারটি জয়রাইড হল ০২৫৪৭ দার্জিলিং থেকে সকাল ৯.২০মিনিটে ছেড়ে ১০.০৫ এ ঘুমে পৌঁছে যাবে। ফের ঘুম থেকে ১০.২৫মিনিটে ছেড়ে দার্জিলিং ১০.৫৫মিনিটে পৌঁছে যাবে। ০২৫৪৮ দার্জিলিং থেকে সকাল ১১.২৫মিনিটে ছেড়ে ঘুমে পৌঁছে যাবে ১২.১০মিনিটে। আবার ঘুম থেকে ১২.৩০মিনিটে ছেড়ে বেলা ১টায় দার্জিলিং পৌঁছে যাবে। ০২৫৪৯ দার্জিলিং থেকে দুপুর ১.২৫মিনিটে ছেড়ে ২.১০মিনিটে ঘুমে পৌঁছে যাবে। আবার ঘুম থেকে ২.৩৫মিনিটে ছেড়ে দার্জিলিং পৌঁছে যাবে দুপুর ৩.০৫মিনিটে। এছাড়া ০২৫৫০ জয়রাইডটি দার্জিলিং থেকে ছাড়বে দুপুর ৩.৩০মিনিটে আর ঘুমে পৌঁছে যাবে বিকাল ৪.১৫মিনিটে। আবার ঘুম থেকে বিকাল ৪.৩৫ মিনিটে ছেড়ে দার্জিলিং পৌঁছে যাবে বিকাল ৫.০৫মিনিটে ।
এই ৪টি স্পেশাল জয়রাইডে থাকছে ৩টি করে ফার্স্ট ক্লাস চেয়ার কার। দুটি কোচ ৩০আসন বিশিষ্ট ও একটি কোচে ২৯আসন রয়েছে। এপ্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, “পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে রেল সবসময় তৎপর। তাই আমরা ৪টি বাড়তি টয় ট্রেন জয়রাইড চালাচ্ছি। তবে নিউজলপাইগুড়ি থেকে এসি স্পেশাল টয় ট্রেনে যাত্রী না হওয়ায় তা বাতিল করে দেওয়া হলো। আমরা চাই প্রতিটি পর্যটক যাতে টয় ট্রেন চড়ার স্বাদ পায়। তাই জয়রাইড বাড়ানো হয়েছে।”