ঝাড়গ্রাম , ১৫ ডিসেম্বর : ঝাড়গ্রাম জেলার জুলজিক্যাল পার্কের চিতাবাঘ হর্ষিনী ও সোহেল । দু’বারে তাদের মোট পাঁচটি সন্তান । স্বাভাবিক ভাবেই জায়গার সংকুলান। তাই এবার ঘর ভাঙতে চলেছে হর্ষিনি , সোহেলের । ঘর ভাঙছে হর্ষিনী , সোহেলের। বেশ কয়েক বছর আগে খুনি হর্ষিনীকে ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে আনা হয়েছিল ঝাড়গ্রামে । সাজা যাবজ্জীবন বন্দী দশা।
যদিও তার মন ভালো করার জন্য সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই আনা সঙ্গীকে তার সাথে থাকার ছাড়পত্র দেয় জুওলজিক্যাল পার্ক কতৃপক্ষ । নাম সোহেল । দু’জনের আলাপ পরিচয় আর প্রেম জমে ওঠে । ঘর বাঁধে দু’জনে। এবার ঘর ভাঙার পালা। দুই ছেলে সুলতান আর সাহাজাদা কে নিয়ে বাবা সোহেল পাড়ি দিচ্ছে কুচবিহারের রসিকবিলের নতুন ঠিকানায়।
ঝাড়গ্রামে এবার সদ্য হওয়া তিন সন্তানকে নিয়ে থাকবে মা হর্ষিনী । আর তাই মন খারাপ রেসকিউ সেন্টারের কর্মী আধিকারিকদের । হর্ষিনী , সহেল তাদের ছানাপোনাকে দেখভাল করত সাহেব রাম মূর্মূ আর,শম্ভু মূর্মূ । তাদের বাচ্চাদের ও নিজেদের সন্তানের মত মানুষ করেছেন তারা । খালি হয়ে যাবে এনক্লোজার।
এদের চলে যাওয়ার পাশাপাশি কিছুটা খুশিও জানালেন এই জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার অতুল প্রসাদ দে । ছোট জায়গায় থাকতে সমস্যা হচ্ছে তাই রসিক বিলে বড় এনক্লোজার পাবে । এদের ফেয়ারওয়েল ও ব্যবস্থা করা হচ্ছে । ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এখন স্বজন বিদায়ের বেদনা ।