শিলিগুড়ি , ২ জুলাই : বকরাভিটার স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বর্মনের স্ত্রী সবিতা বর্মন ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাড়িতে ফেরে | তার নিরাপত্তার কথা ভেবে সবিতা দেবীকে তার বাবার বাড়িতে রাখে তার স্বামী | পড়ে গ্রামে সালিশি সভার নাম করে দম্পতিকে ডেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ | এলাকার মহিলাদের দ্বারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে আত্মঘাতী হয় গৃহবধূ সবিতা বর্মন | এরপর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হলে এনজেপি পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে |
এই ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাড়ি ১ নম্বর অঞ্চলের অধীন বকরাভিটায় । বিগত ৮ দিন আগে বকরা ভিটার স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বর্মনের স্ত্রী সবিতা বর্মন নিখোঁজ হয়।
তবে জানা যায়,সবিতা দেবী এলাকারই এক বিবাহিত যুবকের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে তার সাথেই ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল।এই বিষয়ে তাপস বর্মন নিউ জলপাইগুড়ি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
এরপর ৮ দিন পর সবিতা তার স্বামী তাপস বর্মনকে ফোন করে তাকে নিয়ে যেতে বলে এবং সাথে এটাও জানায় যে সে বিপদে আছে । এরপরেই তাপস বর্মন তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেন এবং নিজের শ্বশুর বাড়িতে রেখে দেন । এদিকে গোটা বিষয়টি এলাকার পঞ্চায়েত মালতী রায় কে জানান তাপস বাবু । এরপর পঞ্চায়েতের কার্যালয়েই সালিশি সভা বসার ছিল ।
তবে সালিশি সভা বসার আগে গ্রামের মহিলারা স্বপ্না অধিকারীর নেতৃত্বে ওই দম্পতিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাপস বাবুর অভিযোগ , গোটা ঘটনাটি পঞ্চায়েতের সামনে ঘটলেও পঞ্চায়েত কিছুই বলেন নি । এরপরেই সবিতা দেবী অপমান সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ ।
এই বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত মালতী রায়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার স্বামী শম্ভু রায় বলেন , মারধরের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না । উপরন্তু তিনি আরও বলেন পাড়ার মহিলারা নাকি দুই একটা চড় মারতেও পারেন ।
মৃত সবিতা দেবীর স্বামী সহ তার পরিবার এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন ।