শিলিগুড়ি , ৭ জানুয়ারী : ওষুধ চুরির গ্যাঙের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ । ঘটনায় মাস্টারমইন্ড সহ গ্রেপ্তার ৬ ।
শিলিগুড়ির এয়ারভিউয়ের কাছে ইভা নামে একটি ওষুধের দোকানের মালিক ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দোকান থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ওষুধ চুরির অভিযোগ জানায় । অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দুই ওষুধের দোকানের কর্মচারী যৌথভাবে এই চক্র চালাচ্ছিল । এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ইভা ওষুধের দোকানের ম্যানেজার সুকান্ত দেবনাথ ওরফে রাজীব । এই ম্যানেজারই পরিকল্পনা করে দোকানের কর্মী আশীষ থাপা এবং অপর একটি ওষুধের দোকানের কর্মচারী চন্দন প্রসাদ থাপা সরাসরি এই কারবার চালাত , পিছন থেকে সাহায্য করত আরো বেশ কয়েকজন ।
এদিকে দোকানে অডিট শুরু হতেই ইভা ওষুধের দোকানের কর্মী আশীষ থাপা হঠাৎই কাজ ছেড়ে দেয় । অডিট হওয়ার পর দেখা যায় ১৫ লক্ষ টাকার ওষুধ চুরি হয়েছে দোকান থেকে ।এরপরই আশীষ থাপা এবং চন্দন প্রসাদ থাপাকে ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ । তবে পালিয়ে যায় আশীষ।অন্যদিকে চন্দন প্রসাদ থাপাকে গ্রেফতার করে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন জানায় ইভা ওষুধের দোকানের ম্যানেজার সুকান্ত দেবনাথের পরিকল্পনায় আশীষ থাপা তার দোকান থেকে ওষুধ বের করে তাকে দিতেন । এরপর সেসব ওষুধ বিক্রি করতেন চন্দন । এই কাজে পিছন থেকে সাহায্য করত দীপক সরকার , পঙ্কজ এবং উৎপল সরকার নামে আরো তিন ব্যাক্তি ।
চন্দনের বয়ানের ভিত্তিতেই ম্যানেজার সুকান্ত দেবনাথ সহ চন্দনের তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । শুধু তাই নয় , চোরাই ওষুধ কেনার অভিযোগে গতকাল প্রধাননগর এলাকা থেকে ব্যবসায়ী বিষ্ণু বর্মণ ও উদয় কুমার সাহাকেও গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয় পলাতক আশীষ সাহাকে । গতকাল সুকান্ত দেবনাথ , চন্দন প্রসাদ থাপা , দীপক সরকার ,পঙ্কজ ও উৎপল সরকারকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে তোলা হলে মহামান্য বিচারপতি তাদের ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি মঞ্জুর করেন। আজ পানিট্যাংকি ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃত আশিষ থাপাকে তোলা হয় শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে ।