শিলিগুড়ি , ৩ অগাষ্ট : নেপাল হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা বানচাল করল এসএসবি | এসএসবি এর তৎপরতায় ধৃত দুই বাংলাদেশি নাগরিক |
নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই বাংলাদেশি নাগরিক । তবে সীমান্তে মোতায়েন সশস্ত্র সীমা বল এর নজর পড়ে যায় তারা । পানিট্যাঙ্কির ভারত – নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ‘সি’ কোম্পানির বর্ডার ইন্টারঅ্যাকশন টিম ।
ধৃতরা হল মহম্মদ নুর হোসেন খন্দকার (৪১) ও মহম্মদ ওমর ফারুক আরমান (২৭)। নুর হোসেন বাংলাদেশের ফেনী জেলার , আর ওমর ফারুকের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিমারা এলাকায় ।
তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন , নেপাল ও বাংলাদেশের ২টি সিম কার্ড , কিছু নেপালি মুদ্রা , একটি বাংলাদেশি প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশের পরিচয় পত্র।
এসএসবি-র প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ধৃতরা জানিয়েছে পেশায় পিকআপ চালক নুর হোসেন খন্দকার রোমানিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে এক বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে প্রথমে সিলেট – ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে , পরে নেপালে যায়। নেপালে দালাল সোহাগ তার থেকে ১২ লাখ টাকা নেওয়ার পর কিছুদিন পর পাসপোর্ট সহ বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে , ওমর ফারুক আরমান ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দালাল নিসারউদ্দিন-এর সহযোগিতায় কাঠমান্ডু পৌঁছায় । ফ্রান্স পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিসারউদ্দিন তার কাছ থেকে নেয় ২০ লাখ টাকা । শুরুতে আর্থিক সহায়তা দিলেও , ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাসপোর্ট নিয়ে নিসারউদ্দিন উধাও হয়ে যায় ।
এরপর নেপালে দুই জনের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আরেক দালাল হাসান তাদের এক ভারতীয় দালাল ফণি রায়-এর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ফণি রায় তাদের বাংলাদেশ ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাকরভিট্টায় ২৫,০০০ নেপালি রুপি হাতিয়ে নেয় এরপর আর ফিরে আসে না।
তারপর দুই ধৃত বাংলাদেশী পানিট্যাঙ্কির দিকে একটি টোটো করে রওনা হলে , এসএসবি-র তৎপরতায় সীমান্তের কাছেই ধরা পড়ে তারা।
ধৃতদের খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসএসবি । আজ তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয় । তদন্তে পুলিশ ।