শিলিগুড়ি , ১৬ ডিসেম্বর : আজ দুপুর ১২ টায় পরম মহন্ত ও সালাসার দরবারের সাধক , সন্তোষী নগরের বাসিন্দা শ্রী ছিন্তরমল শর্মা প্রয়াত হলেন। তিনি তার ভক্ত ও তার পুরো পরিবার রেখে গেছেন। গুরুজীর আকস্মিক মৃত্যুর খবর তার ভক্তদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে তারা শোকাহত হয়ে পড়েন। কেউ বিশ্বাস করেনি যে হঠাৎ গুরুজী ইহলোকের বাসিন্দা হবেন |
গুরুজীর মৃত্যুর পর তার ভক্ত ও শিষ্যদের দ্বারা শোক বার্তা ও শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে । দার্জিলিং মোড় , দুর্গা গুড়ি , নবগ্রহ মন্দিরের পণ্ডিত ধ্রুব উপাধ্যায় তার শোক বার্তায় বলেছেন যে গুরুজী ছিন্তারমল শর্মা ছিলেন সরল জীবন এবং উচ্চ চিন্তার একজন সাধক। তিনি সবসময় অসহায়দের সাহায্য করতেন। তিনি তার শোক বার্তায় বলেছেন যে গুরুজী যাকে তার আশীর্বাদ দিয়েছেন, তা অবশ্যই ফল দিয়েছে। ভগবান তাকে তার চরণে স্থান দান করুক।
গুরুজী শ্রী ছিন্তারমল শর্মা তার জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছিলেন। এই সময়টা ছিল যখন মানুষ জীবিকা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলত। সে সময়ে সমাজ, ধর্ম, কর্তব্য ও পরোপকারের কথা বলত মাত্র কয়েকজন। গুরুজী শ্রী ছিন্তারমল শর্মাও ছিলেন তাদের একজন। তিনি শ্রী সালাসার দরবারকে সমাজ ও ধর্মের সাথে মানুষকে সংযুক্ত করার মাধ্যম বানিয়েছিলেন এবং সমাজসেবা করাকে তার লক্ষ্যে পরিণত করেছিলেন।
যারা শ্রী গুরু জি ছিন্তারমল শর্মাকে যারা চেনেন তারা জানেন যে তিনি খুব কম কথা বলতেন । কিন্তু তার কথা এবং ভবিষ্যদ্বাণী ছিল বেশ নির্ভুল। এমনকি সবচেয়ে কঠিন বিষয়েও তিনি কথা বলার আগে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করতেন। তিনি তার ভক্ত ও সমাজের মানুষের সাথে সহজে মিশে যেতেন।
গুরুজীর মৃতদেহ আজ ভক্তদের দেখার জন্য রাখা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তার শবযাত্রা বের হবে । রামঘাটে তার দাহ সম্পন্ন হবে । গুরুজী সমাজের স্বার্থে চোখ দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার ইচ্ছা ও সংকল্পকে সামনে রেখে চক্ষুদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে । খবর সময় পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা |