শিলিগুড়ি , ৪ জানুয়ারী : মহিলাদের ইভটিজিং করার অভিযোগ শুধু নয় | নিত্যযাত্রীদের মারধরের অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে | অভিযুক্ত বিক্রম ওরফে লাল্লনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ | গত সোমবার তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুকান্ত নগরের বাসিন্দা বাপী দাস | সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ চলছিল অভিযুক্ত বিক্রমের | অবশেষে পুলিশের জালে বিক্রম |
অভিযোগ, গত সোমবার সকালে শিলিগুড়ির সুকান্ত নগরের বাসিন্দা বাপী দাস বাইক নিয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপান্ডে সরনী দিয়ে তার কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় তার দলবল নিয়ে বাপী বাবুর রাস্তা আটকায় বিক্রম ওরফে লাল্লন। অভিযোগ বিক্রম নিদান দেয়, এই রাস্তা দিয়ে বাপী বাবু যেতে পারবেনা।বাপী এর কারন জানতে চাইলেই তাকে বিক্রম ও তার দলবল বেধরক মারধর করে বলেই অভিযোগ ওঠে। এই হামলায় জখম হন বাপী বাবু। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এর পর আহত বাপী দাস ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অঘোষিত দাদা অভিযুক্ত বিক্রমের নামে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ির কোর্টমোড়ের কাছে একটি লটারির দোকানের সামনে সুভাষপল্লীর বাসিন্দা অমরজিত পালকেও গালিগালাজ করে বিক্রম বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই অমরজিত বাবুকে বেধরক মারধর করে বিক্রম বলেও অভিযোগ। এই হামলার ঘটনা নিয়েও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্রমের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানার অভিযোগ দায়ের করেন অমরজিত বাবু।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রেও জানা গিয়েছে পথ চলতি স্কুল ছাত্রী , যুবতীদের এই যুবক মাঝে মাঝেই ইভটিজিং করত । এদিকে পরপর অভিযুক্ত বিক্রমকে নিয়ে শিলিগুড়ি থানা ও পানিট্যাংকি আউটপোস্টে দুটি অভিযোগ দায়ের হওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ । আজ অভিযুক্ত বিক্রমকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয় ।