শিলিগুড়ি , ৭ অক্টোবর : প্রকৃতির রোষে বিপর্যস্ত সিকিম । তিস্তার ধ্বংসলীলায় নিখোঁজ বহু মানুষ । একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক । এরমধ্যে অনেকেরই খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকেরা । গত চার মাস আগে রাজমিস্ত্রি ও হেলপারের কাজে গিয়েছিলেন একই গ্রামের চার যুবক। জয় কুমার এক্কা , কিশোর খালকো , পেটুরাস এক্কা , মনসুর আলী সকলেই একসাথে কাজ করছিলেন সিকিমের লাচুংয়ে।
গত মঙ্গলবার রাতে ফোনে শেষ কথা হয়েছিল নিখোঁজ যুবকদের স্ত্রীর সাথে। এর পরেই দিন থেকে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাটি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাট অঞ্চলের নিরখিন গছ গ্রামের। প্রত্যেকটি পরিবারে বাবা-মা স্ত্রী সন্তানরা চিন্তায় রয়েছেন। এরপরে থেকেই রাতের ঘুম উড়েছে পরিবার গুলির। গোটা গ্রাম এখনো চিন্তায় রয়েছে সেই যুবকরা কবে বাড়ি ফিরবে । চারজন যুবক বা তাদের ঠিকাদার তাদের সাথে আর কোনওভাবে যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে না ।
চার পরিবারের পক্ষ থেকে ফাঁসিদেওয়া থানায় একটি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তারা । অন্যদিকে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ মন্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান । বিষয়টি গতকাল রাতে জানতে পেরেছি এর পর প্রশাসন সাথে কথা হয়েছে। সিকিমে যে টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে । তবে এই চার যুবক যতক্ষণ পর্যন্ত বাড়িতে না ফিরছে চিন্তায় রয়েছে পরিবার গুলি।
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথেও কথা হয়েছে তারাও যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে । মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা । ২৪ ঘণ্টা পরেও নামছে ধস , বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক রাস্তা । এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে । এখনও নিখোঁজ শতাধিক মানুষ। ভারতীয় সেনা এবং এনডিআরএফ জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।