September 7, 2024
Sevoke Road, Siliguri
উত্তরবঙ্গ ঘটনা

India : “কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আক্ষেপ নেই” বললেন ভুবনেশ থাপা , শহীদ ক্যাপ্টেনের বাবা

শিলিগুড়ি , ১৬ জুলাই : জম্মু কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গি হানায় শহীদ হন দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের বড়াগিঙ্গের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা । মাত্র ২৭ বছর বয়সে শহীদ ব্রিজেশ। সোমবার রাতে জম্মু কাশ্মীরের ডোডা থেকে চার ঘন্টা দূরত্বে থাকা এক পাহাড়ি জঙ্গলে একটি অভিযানের সময় আচমকা আতঙ্কবাদীরা হামলা চালায়। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালায় সেনারা। দুপক্ষের লড়াইয়ে ব্রিজেশ সহ আরও চার জওয়ান ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন ।

ব্রিজেশ থাপার শহীদ হওয়ার খবর ইতিমধ্যে সেনা আধিকারিকদের তরফ থেকে তার পরিবারকে জানানো হয়ে । বুধবার ব্রিজেশের পার্থিব দেহ বিশেষ বিমানে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হবে ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা ২০১৪ সালে সেনা থেকে অবসরপ্রাপ্ত হন । বর্তমানে তিনি দার্জিলিংয়ের লেবংয়ে এক্স সার্ভিসম্যান হেলথ সার্ভিস স্কিমে কর্মরত রয়েছেন । ব্রিজেশ লেবংয়ে জন্মের পর নিজের প্রাথমিক পড়াশুনো দার্জিলিংয়ে করলেও বাবার সেনায় অন্যত্র পোস্টিংয়ের কারণে বেশিরভাগ পড়াশুনো রাজ্যের বাইরেই করেছিলেন ।

শেষে মুম্বাইতে নিজের উচ্চশিক্ষা শেষ করেন । সেখানকার কলেজ থেকে বি’টেক শেষ করে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। ২০১৮ সালে তিনি ওই ডিফেন্স সার্ভিসের শর্ট সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাস করেন ও ২০১৯ সালে সেনাতে যোগ দেন । তিনি দু’ বছর ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর তাকে এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীন জম্মু কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি করা হয় ।

সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ- কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন । নিজের ট্রুপ নিয়ে ডোডা থেকে প্রায় চার ঘন্টা দূরত্বে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় আচমকা তাদের উপর হামলা হয় । বুধবার ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার পার্থিব শরীর শিলিগুড়িতে ফিরলে তাকে বাগডোগরা সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হবে। সেখান থেকে তার দেহ সড়কপথে লেবংয়ের নিজ ভূমিতে নিয়ে যাওয়া হবে ।
ব্রিজেশ থাপার পিতা কর্নেল ভুবনেশ থাপা বলেন , ছোট থেকেই ব্রিজেশের সেনার প্রতি খুব টান ছিল । নিজেকে সেই ভাবেই তৈরি করেছিল । কষ্ট তো হচ্ছে কিন্তু আক্ষেপ নেই। আমার সন্তান দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *