শিলিগুড়ি , ২৮ জুন : উপাচার্যদের নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হল বৈঠক । ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে আড়াই ঘণ্টার মেগা বৈঠক সারলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য্য সি ভি আনন্দ বোস।
দার্জিলিং থেকে আজ সকালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আসেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও এই বৈঠক ঘিরে সংঘাত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের। এই বিষয়কে ভালো চোখে দেখছে না নবান্ন বলে সূত্রের খবর । গত ২৬ জুন দু’দিনের দার্জিলিং সফরে আসেন রাজ্যপাল । সে দিনই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর ক্যাম্পাস চত্বরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি । উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকার মুখেই গো ব্যাক স্লোগান , কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি রাজ্যপালের গাড়ির সামনে বসে পড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও সমর্থকরা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃনমূল কংগ্রেসের অবসার্ভার মিঠুন বৈশ্য বলেন , রাজ্যপাল অগণতান্ত্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন | নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে । একনায়ক তন্ত্রের প্রভাব খাটিয়ে রাজ্যপাল আজকে বৈঠক করছেন । উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন বলে জানা যায় ।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা টিচার কাউন্সিলের সভাপতি সমর বিশ্বাস জানান ,গত ১১ বছর ধরে রাজ্যের সরকার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কোন নজর দেননি । একের পর এক দুর্নীতির শিকার হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । রাজ্যপাল নিজের উদ্যোগে যে বৈঠক করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের জন্য তা ভালো ফলই হবে । তবে যারা রাজ্যপাল কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ২০০ কোটি টাকার উপর দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতিকে ঢাকার জন্য।
অন্যদিকে , তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন ,এটা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ নয় । এটি তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ।অন্যদিকে TMCP মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্য করার যে দাবি রেখেছে তাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন , তাদের এই দাবির কারণ হল তৃণমূল যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো বেশি করে দুর্নীতি করতে পারে তার জন্যই এই দাবি রেখেছে।
অন্যদিকে,হাইকোর্টের রায়ে সমস্ত আচার্য্য নিয়োগকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে । খুশি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্যরা । এদিন উপাচার্যরা বলেন ,সত্যের জয় হয়েছে । এই নিয়োগ বৈধ ছিল ফলে সত্যের পক্ষে রায় হয়েছে।