শিলিগুড়ি , ১৮ ডিসেম্বর : পাহাড়ে জি টি এ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের |
জিটিএ'র শিক্ষক নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে বলে ৩১৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ৷
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ পাহাড় । দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের সমস্ত বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাহাড়ের সমস্ত স্কুল বনধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা । এতে পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পরার আশঙ্কা রয়েছে ।
আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত করে জানায় ৩১৩ জনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে ৷ মামলার শুনানিতে জিটিএর-র তরফে দাবি করা হয়েছিল তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব ছিল না। তবে আদালত এই যুক্তি সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দেয়।
এদিকে পাহাড়ের শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের দাবি , গত ২৫ বছর ধরে দার্জিলিং পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কোনো রিক্রুটমেন্ট রুল কার্যকর করা হয়নি । তাহলে শিক্ষকরা কোন পরীক্ষা পাশ করে যোগ্যতা প্রমাণ করবেন ? যদি এই ২৫ বছর ধরে সবাই যোগ্যতা প্রমাণের জন্য রিক্রুটমেন্ট রুল বা এসএসসি পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকতেন , তবে দার্জিলিং পাহাড়ের সব বিদ্যালয় বহু আগেই বন্ধ হয়ে যেত । এই ২৫ বছরের সময়কালে দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষাব্যবস্থা সামলানোর কাজ স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক – শিক্ষিকারা নিজেদের উদ্যোগেই কাজ করে এসেছেন। দার্জিলিং পাহাড়ে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ দেওয়ার একটি প্রক্রিয়া গড়ে তোলা হয়েছিল। এতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোনো দোষ নয়, বরং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ত্রুটি বলে দাবি করেন তারা।
এই বিষয়ে সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি সন্তোষ খড়কা বলেন , “কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ফলে আগামী দিনে দার্জিলিং পাহাড়ের অবসরপ্রাপ্ত পুরনো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বর্তমান অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপরও প্রভাব পরবে ।
সহ সভাপতি বিবেক ছেত্রী বলেন , আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের সমস্ত বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে | যেসব বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে , অথবা ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে , কিংবা বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেসব সব কর্মসূচি স্থগিত থাকবে ।
অন্যদিকে আজ দার্জিলিং রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করেন চাকরিহারারা | সেখান থেকে ভানু ভবন যান তারা | তারা অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা তাদের কাজ ফিরে পাচ্ছেন |
আন্দোলন প্রসঙ্গে আনীত থাপা সকলকে অনুরোধ করেন পড়ুয়াদের পঠন পাঠন যাতে বন্ধ না হয় সেদিকটা যেন সহানুভুতির সঙ্গে দেখেন আন্দোলনকারীরা |

