শিলিগুড়ি , ১৯ ডিসেম্বর : দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের রায়ে পাহাড়ের ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হল । শুধু চাকরি বাতিলই নয় , অবিলম্বে তাদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছে মামলাকারী সংগঠন ট্রেনড আনইমপ্লয়েড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন । সংগঠনের সভাপতি সুধন গুরুং জানান , শুধুমাত্র ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করলেই চলবে না । পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে । পাশাপাশি , দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মূল অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবি জানান তিনি ।
চাকরি পাওয়ার দিন থেকে বরখাস্ত হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে বেতন পেয়েছেন , তা সুদ সহ ফেরত নেওয়ারও দাবি তুলেছেন সুধন গুরুং।
অন্যদিকে , মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরিহারা ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশে থাকার কথা জানিয়েছে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি (ABTA)। যদিও সংগঠনটিও নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত এবং মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতেই সায় দিয়েছে ।
এদিন দার্জিলিং জেলার এবিটিএ কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক বিদ্যুৎ রাজগুরু জানান , নির্দোষদের হয়রানি নয় , বরং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক |
