শিলিগুড়ি , ২২ এপ্রিল : শিশু চুরি তদন্তে নয়া মোড় , প্রথম দিন সন্দেহ বসত যে মহিলার পিছু নিয়েছিল পুলিশ সে মহিলা আদতে অভিযুক্ত নয় ।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে চলতি মাসের গত ২০ তারিখ শিশু চুরির ঘটনা ঘটে । তদন্তে নামে মেডিকেল ফাঁড়ির পুলিশ। তদন্ত নেমে পুলিশের সামনে প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেডিকেল কলেজের অচল সিসিটিভি ক্যামেরা। যদিও পরবর্তীতে মেডিকেলের মূল গেটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রাফিক ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক মহিলাকে সন্দেহ হয় পুলিশের।
তারপর থেকেই শহরের বিভিন্ন ট্রাফিক ক্যামেরার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সেই মহিলাকে জলপাইগুড়িতে গিয়ে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর সেই মহিলাকে আটক করে পুলিশ জানতে পারে সেই মহিলা অভিযুক্ত নয় । তার কোলে যে সন্তানটি রয়েছে সেটি তার নিজের সন্তান। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিল শিশুটির শারীরিক চিকিৎসার জন্য এবং সেই মহিলার কোলে থাকা শিশুর সমস্ত কাগজপত্র পুলিশকে দেখাতে সক্ষমও হয় সেই মহিলা ।
পরের দিন ও তাতে ২১ তারিখ আবারও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে আরও এক মহিলাকে চিহ্নিত করে পুলিশ । দ্বিতীয়বার শনাক্ত করা মহিলার তদন্ত করার পাশাপাশি শিশু চুরি ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টকে ।
পাশাপাশি সূত্রের খবর শিশু চুরির ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তরফ থেকে মেডিকেলের দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়েছে । প্রসূতি বিভাগের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা গার্ডেকে বরখাস্ত করা হয়েছে । এর পাশাপাশিও আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে | উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তরফ থেকে যাতে দ্বিতীয়বার এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।