শিলিগুড়ি , ৩০ জুলাই : শিলিগুড়ি পুরনিগমের আজকের মাসিক বোর্ড মিটিংয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মনের বক্তব্যকে ঘিরে । নিজের ওয়ার্ডে কাজ না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি অভিযোগ করেন , তৎক্ষণাৎ তাকে বাধা দেন চেয়ারপার্সন প্রতুল চক্রবর্তী । এখান থেকেই শুরু হয় বাগবিতণ্ডা ।
চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তর্কের মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ । এরপর মেয়র গৌতম দেব এবং ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন । দিলীপবাবুর সঙ্গে তাদেরও বচসা বাধে । শেষ পর্যন্ত তাকে সভা ত্যাগ করতে বলা হয় ।
দিলীপ বর্মন নিজেও বলেন , “আমার কথা যদি কেউ না শোনেন , তাহলে আমায় বাদ দিন সভা থেকে।” সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন , “আমি ২৬ হাজার মানুষের ভোটে জিতে এসেছি । আমি যদি চুপ করে যাই , তাহলে মানুষকে কী বলব ? প্রয়োজনে সেই ২৬ হাজার ভোটারকে নিয়ে এসে শিলিগুড়ি পুরনিগম ঘেরাও করব।”
অন্যদিকে , পুরনিগমের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে বিরোধীরা । বিজেপি কাউন্সিলর অমিত জৈন বলেন , “এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হত , এখন শাসক দলের কাউন্সিলরদেরও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ সত্যিটা বেরিয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে পুরনিগম।”
বামফ্রন্ট কাউন্সিলর নুরুল ইসলামও বলেন , “পুরনিগমে সর্বত্র অনিয়ম চলছে । আমরা বললে কণ্ঠরোধ করা হয় । আজ প্রমাণিত হল , শাসকদলের মধ্যেও যারাই প্রশ্ন তুলছে , তাদেরও মুখ বন্ধ করতে চায় প্রশাসন।”
যদিও পুরনিগমের তরফে মেয়র জানান , দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা লড়াই করে আজ এই জায়গায় এসেছেন | তাদের কাছ থেকে শিখতে হবে না | তিনি সংক্ষেপে জানান , “এই বিষয়ে উপযুক্ত তদন্ত হলে দলে জানানো হবে। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে , সেটাই মানা হবে। সভাকক্ষে যা হয়েছে , তা পুরোটাই চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত। মেয়র বা ডেপুটি মেয়রের কোনও ভূমিকা নেই।”