আলিপুরদুয়ার , ২৮ জানুয়ারী : দুই ট্রেনি নার্সকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগে রাণা মালাকার নামের এক নার্সিং স্টাফকে গ্রেপ্তার করল আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
ওই দুই নার্সিং পড়ুয়ার সঙ্গে কর্তব্যরত অবস্থায় শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে রাণা মালাকার বিরুদ্ধে | পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ,আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় ।
গত ২৫ জানুয়ারী দিনের বেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সী ওয়ার্ডে ওই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে | রবিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি । ওই ঘটনা নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই জেলা হাসপাতাল চত্বরে শোরগোল পড়ে যায় । ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালে আসেন ওই দুই নার্সিং পড়ুয়ার অভিভাবক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক স্বাস্থ্য কর্তা । এক ম্যারাথন বৈঠকের পর সন্ধ্যা নাগাদ ওই অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মন্ডল। সঙ্গে ওই অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে ।
অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রাণা মালাকার নামের ওই স্বাস্থ্য কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিল । নানান অছিলায় মহিলা নার্সদের বাজে ইঙ্গিত করাটা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিল বলে অভিযোগ । কিন্তু এতদিন ধরে তার ওই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠায় বিষয়টি ধামাচাপা অবস্থায় ছিল। এদিন নির্যাতিতা দুই নার্সিং পড়ুয়া রুখে দাঁড়ান। প্রথমে তারা নার্সিং ট্রেইনিং ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপালের দীপ্তি কর চৌধুরীর কাছে জানান ।
পরবর্তীতে ট্রেইনিং ইন্সটিটিউটের প্রত্যেক ছাত্রী সহ প্রন্সিপাল হাসপাতাল সুপারকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানান ।
জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মন্ডল বলেন , “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি । সঙ্গে পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে । অভিযোগের একটি কপি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।”
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন , “একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”