জলপাইগুড়ি , ২৭ ফেব্রুয়ারী : কথায় বলে রাখে হরি তো মারে কে ? জীবনের প্রতি চরম হতাশায় ও অনটনের কারনে রেল লাইনে আত্মঘাতী হ’তে এসেছিলেন এক ব্যক্তি । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশন ছেড়ে দোমহনি স্টেশনের দিকে তখন ঝড়ের বেগে ছুটতে থাকা নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদাগামী ডাউন তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে থাকা কর্তব্যরত লোকো ইন্সপেক্টর চন্দন সরকারের তীক্ষ্ণ নজর গিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির গতিবিধির উপর ।
আচমকাই তিনি লক্ষ্য করেন যে কোনো এক ব্যক্তি রেল লাইনের উপর মাথা দিয়ে হঠাৎ শুয়ে পড়লেন । মুহূর্তেই তিনি বিষয়টি চালক ও সহকারী চালকের নজরে আনেন । রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্যক্তির অবস্থানের দেড়শো মিটার দূরে কোনোক্রমে আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয় । তারপরেই ইঞ্জিন থেকে নেমে ওই ব্যক্তিকে টেনে তোলেন চন্দন বাবু।অনেক বুঝিয়ে মানসিক শক্তি যুগিয়ে ওই ব্যক্তিকে আরপিএফ আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন তিনি ।
তদন্তে জানা গিয়েছে , ওই ব্যক্তির নাম রোহিত সরকার | পেশায় বেসরকারি পরিবহন কর্মী । কাজ হারিয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে এসেছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন । ঘটনা রবিবার দুপুর ২.১৬ মিনিটের হ’লেও আজ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে দুই চালক ও ওই লোকো ইন্সপেক্টরকে বাহবা জানানো হয়েছে ।