Khabar Samay Bangla Blog অপরাধ Murder Case : বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ , গ্রেপ্তার স্বামী
অপরাধ ঘটনা

Murder Case : বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ , গ্রেপ্তার স্বামী

শিলিগুড়ি , ১৩ ফেব্রুয়ারী : বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে রাগে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ছুরি চালিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে । পরে তাকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করতে স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশের জালে স্বামী । রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার ভক্তিনগর এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে মৃত স্ত্রীর নাম সুপ্রিয়া বৈশ্য (২৪) । অভিযুক্ত স্বামী সুদীপ বৈশ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । কোচবিহার জেলার সিতাইয়ের বাসিন্দা এই দম্পতি বেশ কয়েকবছর ধরেই ভক্তিনগর এলাকায় বসবাস করছিল । সোমবার তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয় ।


এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন , “খুনের একটি ঘটনা ঘটেছে । অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।”
প্রায় দশ বছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল । তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে । অভিযুক্ত স্বামী ফুলেশ্বরী এলাকার একটি সিমেন্টের দোকানে ভ্যান চালকের কাজ করে ।

পুলিশের প্রাথমিক জেরায় সুদীপ জানিয়েছে , তার স্ত্রী খুবই সুন্দরী ছিলেন। কয়েকমাস ধরে স্ত্রীর মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছিল । শাঁখাসিঁদুর খুলে রেখেছিল সে । যখন তখন বাড়ির বাইরে কাউকে কিছু না জানিয়েই বেড়িয়ে যেত । যা থেকে স্বামীর মাথায় সন্দেহ দানা বাঁধে । সন্দেহ এমন পর্যায়ে যায় যে মাঝেমধ্যেই দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল চরমে উঠত । এমনকি সপ্তাহ দু’য়েক আগে থেকে ভাড়া বাড়িতেও ফিরত না সুদীপ ।

গতকাল বিকেলে বাড়ি ফিরেই স্ত্রীকে ফের পুরানো শাঁখাসিঁদুর পড়তে দেখে সন্দেহ ফের চরমে ওঠে তার । কী কারণে ফের শাঁখাসিঁদুর পড়া হয়েছে স্ত্রীর কাছে তা জানতে চায় অভিযুক্ত । এই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দেওয়ায় রেগে যায় সুদীপ। এরপরেই সেখানে পড়ে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সে । ঘটনা দেখে ভয় পেয়ে যায় তাদের ছেলেমেয়ারা। এরপরেই স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত । তবে কর্মরত চিকিৎসকরা জানান স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে । চিকিৎসকরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে সুদীপকে গ্রেপ্তার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version