শিলিগুড়ি , ১ ফেব্রুয়ারী : ২০২০ সালে পঞ্জাবের একটি ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় দেশের প্রত্যেকটি থানায় রাখতে হবে সিসিটিভি । সেই মতই ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের প্রত্যেকটি থানা সিসিটিভির আয়তায় আনার জন্য । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী লকাপ রুম এবং আই সি , ও সি এর রুমে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশ মোতাবেক দার্জিলিং , কালিম্পং ও শিলিগুড়ির প্রত্যেকটি থানায় ইতিমধ্যেই ইনস্টল করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ।
তবে সেই সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা গুলির ডেটা স্টোরেজ ক্ষমতা সাত থেকে দশ দিনের । সে জন্য এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ওয়েভেল নামক একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি থানায় অ্যাডভান্স লেভেল এর সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করার জন্য । এই ক্যামেরা এবং রেকর্ডরুম ইনস্টলেশন এর পরেই এক বছরের ডেটা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
অনেক ক্ষেত্রেই এমন অভিযোগ উঠে আসে লকাপে কয়দিদের উপর পুলিশ দ্বারা অত্যাচার করা হয়েছে । বা অনেক ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ উঠে আসে পুলিশ দ্বারা জোর করে বয়ান নেওয়া হয়েছে। কোর্টে এই সব কেস উঠলে প্রয়োজন হয় প্রমানের। তবে অনেক ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরায় নানা ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য মূল সময়ের ছবি পাওয়া যায় না।
আজ উত্তরকন্যায় এনভিডিডি অ্যাডিশনাল চিপ সেক্রেটারি এ.আর বর্ধন দার্জিলিং , কালিম্পং ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন । বৈঠক শেষে এডিশনাল চিফ সেক্রেটারি এ আর বর্ধন জানিয়েছেন , প্রত্যেকটি থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরায় ইতিমধ্যে ইনস্টল রয়েছে । তবে সেই সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি অ্যাডভান্স নয়। সেক্ষেত্রে অ্যাডভান্স সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে । অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যেহেতু সিসিটিভি ওয়াইফাই এর ওপর নির্ভর করে চলে , কখন ক্যামেরা চলছে বা কখন ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তা পুলিশ কর্মী দ্বারা বোঝা সম্ভব হয় না । সেই জন্য ওয়েভেল সংস্থার একটি অফিস উত্তরকন্যায় খোলার চিন্তাভাবনা চলছে । ওয়েভেল সংস্থার অফিস উত্তরকন্যায় খোলা হলে কোনো থানায় সিসিটিভি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই থানায় পৌঁছে যেতে পারবে ওয়েবেল সংস্থার আধিকারিকরা।
পাশাপাশি প্রত্যেকটি থানায় মাসে একবার করে নিয়মিত পরিদর্শন করে প্রত্যেকটি সিসিটিভি ঠিকঠাক চলছে কিনা সেই সমস্ত কিছুও দেখে নিতে পারবে ওয়েভেল সংস্থার কর্মীরা।